কয়েক মুঠো খাবারের জন্য এক সময়ে শুধু ভিক্ষা করতেন। তবে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। উবার বা পাঠাওয়ে চড়ে তিনি আসা-যাওয়া করেন। বেনসন ছাড়া অন্য ব্যান্ডের সিগারেট খান না। আবার মাঝেমধ্যে ইয়াবাও করেন সেবন।
বলা হচ্ছিল বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের নূর আলমের কথা। রাজধানীর আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটির ১০ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নূর আলম আদাবরে বসবাস করলেও নিয়মিত ভিক্ষা করতে যান মিরপুরের কাফরুল থানার বিপরীতে মসজিদুল আকসা জামে মসজিদের সামনে। আর বাসা থেকে সেখানে যাতায়াত করেন উবার ও পাঠাওয়ের ভাড়া করা যানবাহনে। হাজারো অভাবের গল্প শুনিয়ে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া টাকায় নিয়মিত ইয়াবা সেবন করেন।
আর বেনসন সিগারেট ছাড়া ধূমপান করতে পারেন না নূর আলম। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই প্যাকেট সিগারেট প্রয়োজন হয় তার। নূর আলম ভিক্ষা করলেও ব্যবহার করেন দামি স্মার্টফোন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও অ্যাকাউন্ট আছে তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটির আগে আদাবর বাজারের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন নূর আলম। সেই বাসার মালিক জাকির হোসেন বলেন, পাঁচ মাস আগে আমার বাড়িতে ভাড়া থাকত নূর আলম। শুনেছি আগে ইয়াবার ব্যবসা করত। চার-পাঁচ বছর আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক পা হারায়। এরপর থেকে ভিক্ষা করছে।
তিনি আরো বলেন, ভিক্ষাভিক্ষা করলেও প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা হাতখরচ আছে নূর আলমের। প্রতিদিন বেনসন খান দুই প্যাকেট। এছাড়া বাবা (ইয়াবা) খাইত, তাই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি। দামি সিগারেট ছাড়া অন্য সিগারেট খেতে পারেন না নূর আলম। ব্যবহার করেন দামি স্মার্টফোন। রয়েছে ফেসবুক অ্যাকাউন্টও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাফরুল থানার বিপরীতে মসজিদুল আকসা জামে মসজিদের সামনে প্রতিদিন ভিক্ষা করেন নূর আলম। ভিক্ষা চাওয়ার দৃশ্য দেখে নূর আলমকে সত্যিই বেশ অসহায় মনে হয়। প্রায় তিন ঘণ্টার মতো তিনি ভিক্ষা করেন।